9 Different Types of Burqa in Islam: আমরা ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্বে বাস করি, যেখানে লোকেরা তাদের ইচ্ছামত যে কোন ধর্ম পালন করতে পারে নির্দ্বিধায়। আর সেই কারণেই আমরা বিভিন্ন সংস্কৃতির অনুসরণকারী বিভিন্ন মানুষকে দেখতে পাই। মুসলমানদের কথা বললে তারা একটি বিশেষভাবে কঠোর পোষাক কোড অনুসরণ করে। মহিলাদের জন্য অনেক পোশাকের বিকল্প আছে, যেমন হিজাব, নিকাব, আবায়া, বোরকা, চাদর এবং আরও অনেক কিছু, কিন্তু বোরকা হল সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে জনপ্রিয়।
ইসলামী রীতিতে বোরকার সাথে হিজাব পরিধান করা বাধ্যতামূলক। মহিলাদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের হিজাব রয়েছে। একেক জন একেক রকম হিজাব পরিধান করতে ভালোবাসে। কেউ নিকাব (Niqab), কেউ খিমার (Khimar), কেউ জিলবাব (আরবি: جلباب), কেউ বুশিয়্যা (Bushiya), কেউ শায়লা (Shayla) হিজাব , কেউ মুকেনা (Mukena) হিজাব , কেউ আল-আমিরা (Al-Amira) হিজাব মোট কথা একেক জন একেক রকম হিজাব পরিধান করতে পছন্দ করে।
কিন্তু ইসলামে পর্দার বিধান অনুযায়ী মহিলাদের খাসভাবে পর্দা করার জন্য বুশিয়্যা (Bushiya)হিজাব সবচেয়ে উপযুক্ত হিজাব। আমরা হিজাব পরবো সঠিকভাবে পর্দা করার জন্য কোনো fashion করার জন্য নয়। বর্তমানে হিজাব পরার নামে একটা শয়তানী style বের হয়ছে তা হলো হিজাবটাকে এত টাইট করে বাঁধে যাতে করে চেহারাটা সুন্দরভাবে প্রদর্শিত হয় এমনকি হিজাব ওড়না দিয়ে মাথার উপর এত উঁচু করে বাঁধে যে দেখতে উটের গুজের মতো দেখাই এটা অনেক বড় গুনাহর কাজ। আপনাদের কাছে অনুরোধ করতেছি আপনারা ভুলেও এইরকম করে হিজাব পরবেন না।
কারণ এই সম্পর্কে রাসূল সা. বলেছেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺻﻨﻔﺎﻥ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﻟﻢ ﺃﺭﻫﻤﺎ ﺑﻌﺪ : ﺭﺟﺎﻝ ﻣﻌﻬﻢ ﺳﻴﺎﻁ ﻛﺄﺫﻧﺎﺏ ﺍﻟﺒﻘﺮ ﻳﻀﺮﺑﻮﻥ ﺑﻬﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ، ﻭﻧﺴﺎﺀ ﻛﺎﺳﻴﺎﺕ ﻋﺎﺭﻳﺎﺕ ﻣﺎﺋﻼﺕ ﻣﻤﻴﻼﺕ ﻋﻠﻰ ﺭﺅﻭﺳﻬﻦ ﻛﺄﺳﻨﻤﺔ ﺍﻟﺒﺨﺖ ﺍﻟﻤﺎﺋﻠﺔ ، ﻻ ﻳﺪﺧﻠﻦ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﻻ ﻳﺠﺪ ﺭﻳﺤﻬﺎ ، ﻭﺇﻥ ﺭﻳﺤﻬﺎ ﻟﻴﻮﺟﺪ ﻣﻦ ﻣﺴﻴﺮﺓ ﻛﺬﺍ ﻭﻛﺬﺍ
”জাহান্নামবাসীর দুটি দল থাকবে। যাদেরকে এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি। একদল এমন লোক যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দিয়ে তারা লোকদেরকে প্রহার করবে।(ন্যায়-অন্যায়ের ধার ধারবে না) “আর অন্য দল এমন নারী যারা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকে।তারা অন্যদেরকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও অন্যদের প্রতি ঝুঁকবে। তাদের মস্তক উটের পিঠের কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও তারা পাবে না। অথচ এর ঘ্রাণ এত এত দূর থেকেও পাওয়া যায়।” [সহীহ মুসলিম : ২১২৮]
রাসূল (সা.)
তাফসীরে রুহুল মা’আনীতে বর্ণিত রয়েছে,
رؤوسهن كَأَسْنِمَةِ الْبُخْت يعنى يعظمن رؤسهن بالخمر والقلنسوة حتى تشبه اسمة البخت ، روح المعانى ٢/٣٤ وفي موضع اخر او معناه ينظرن الى الرجال برفع رؤسهن (المائلة)لان اعلى السنام يميل لكثرة شحمه
চাদর বা টুপির দ্বারা তারা তাদের মাথাকে উচু ও বড় করবে,যা শেষ পর্যন্ত উটের পিঠের কুঁজের ন্যায় ধারণ করবে।(রুহুল মা’আনী;২/৩৪)
উক্ত কিতাবের অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে, “যারা উটের পিঠের কুঁজের মত মাথা উচু করে পুরুষের দিকে তাকাবে।”যা পুরুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে। কেননা কুঁজ চর্বিসম্পন্ন হওয়ার কারণে তার দিকে সহজেই লোকজন আকৃষ্ট হয়।রুহুল মা’আনী;৬/১০৫
বোরকা কি ?
বোরকা হল এক ধরনের বহিরাঙ্গিক একটি লম্বা ও প্রবাহিত ওড়নার মতো পোশাক যা নারীর পুরো শরীরকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখে। এটি মহিলাদের জন্য পরিমিত ইসলামিক পোশাক। ইসলামে, আপনার মাথা ঢেকে রাখা মূল্যবান বলে মনে করা হয়, এবং এটি সর্বশক্তিমান আল্লাহর আনুগত্য; তাই ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী পর্দা বজায় রাখার স্বার্থে মুসলিম নারীরা ঘরের বাইরে, বিশেষ করে পর পুরুষ থেকে নিজেকে আড়াল রাখার জন্য, বোরকা পরিধান ক’রে থাকে।
বোরকার উৎপত্তি
ধারণা করা হয় যে বোরকা মধ্যপ্রাচ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল এবং বালুকাময় অংশগুলির মধ্যে একটি। এই পোশাক নারীদের রুঢ়তা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং তাদের ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। এর ইতিহাস পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান এবং সৌদি আরবে 622 খ্রিস্টাব্দ থেকে মুসলিম বা ইসলাম ধর্মের শুরু থেকে পরিধান করা হয়েছে।
ইসলামিক পবিত্র কুরআন অনুসারে, আল্লাহর প্রতি আপনার উৎসর্গীকরণ এবং নম্রতা দেখানোর জন্য আপনার নিজেকে আবৃত করা উচিত। এ কারণেই অধিকাংশ ইসলামি নারী-পুরুষ তাদের মাথা ঢেকে রাখে। মুসলিম নারীদের দ্বারা পরিধান করা একটি শালীন ইসলামিক পোশাক হলো বোরকা যা আল্লাহর প্রতি তারা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
ইসলামের রীতিতে মহিলাদের জন্য বোরকা কেমন হওয়া উচিত?
ইসলামে পর্দা করা ফরজ। আর সঠিকভাবে পর্দা করার জন্য বোরকাই একমাত্র উপযুক্ত পোশাক। বোরকা সাধারণত ঢিলেঢালা হয়ে থাকে। মার্কেটে প্রায় সব রকম কালারের বোরকা available পাওয়া যায়। তবে আলেম-উলামা গণের মতে কালো রঙের বোরকা একটি মানসম্মত বোরকা। কারণ অন্যসব রং যতটা আকর্ষণীয়, কালো রং কিন্তু ততোটা আকর্ষণীয় নয়।
বোরকার কাঠামো এত সুন্দর যে এটি মহিলাদের পুরো শরীরকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখে। ছোট থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সী মহিলাদের জন্য মার্কেটে available বোরকা রয়েছে।
বোরকা পরার উপকারিতাঃ
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে, আমাদের শরীর প্রায় 59% তাপ মাথার মাধ্যমে শোষণ করে। আর সে কারণেই বোরকা পরা এবং মাথা ঢেকে রাখলে শরীরকে অতিরিক্ত তাপ পাওয়া থেকে বাঁচানো যায় এবং সুস্থ থাকা যায়।
পুরুষের খারাপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় :
বোরকা পুরুষের চোখ থেকে নারীদের রক্ষা করে। অনেক প্রয়োজনে আপনাকে বাড়ির বাইরে যেতে হয় , তখন পর্দা না করলে পুরুষদের লোলুভ দৃষ্টির এবং যৌনহয়রানির শিকার হতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে পর্দা করে বাহির হলে ইভটিজিং এর মাত্রা কমে যায়। আপনারা তো জানেন যে আপনার স্বামী ছাড়া অন্য কোনও পর-পুরুষ আপনাকে দেখা যায়েজ নেই। এদিক মেনে চলেই তো আমরা সঠিকভাবে পর্দা করা আবশ্যক।
নিরাপত্তার উদ্দেশ্য:
মহিলারা যখন বোরকা পরে, তারা সুরক্ষিত বোধ করে কারণ তাদের প্রথম পরিবারের মাহরাম পুরুষ ছাড়া অন্য কেউ তাদের দেখতে পায় না। বোরকা পরা হলো আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করা এবং সর্বদা সুরক্ষিত থাকার জন্য নিরাপত্তার অঙ্গীকার।
চুলের স্বাস্থ্য:
চুল ঢেকে রাখলে তা অবাঞ্ছিত দূষণ থেকে দূরে থাকে এবং সুস্থ ও চকচকে থাকে। এছাড়াও, সূর্যালোক সম্পর্কিত কোন ক্ষতি হয় না। তাই, বোরখা এখানে অসাধারণভাবে উদ্ধারকারী হিসেবে কাজ করে।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখে :
বোরকা পরলে আপনার শরীর আচ্ছাদিত থাকে, এবং এটি ধুলো বা দূষণকারীর সংস্পর্শে আসে না। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং আপনাকে সুস্থ ও ফিট রাখে।
পরোক্ষভাবে অর্থ সঞ্চয় করে:
বাইরে যাওয়ার সময় আপনাকে আর স্টাইলিশ এবং ফ্যাশনেবল পোশাক পরার কথা ভাবতে হবে না কারণ মুসলিম নারীর উপর বোরকা পরা আবশ্যক। সুতরাং, সর্বশেষ কথা হলো আপনার ফ্যাশনে বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না।
বোরকা কত প্রকার ও কি কি? এখন আমরা ধাপে ধাপে বোরকার প্রকারভেদ সম্পর্কে জানব। গঠনভেদে বোরকা হরেক প্রকার হয়ে থাকে।
- আবায়া বোরকা (Abaya Burqa)
- জিলবাব বোরকা (Jilbab Burqa)
- খিমার বোরকা (Khimar Burqa)
- কুচি বোরকা (Kuchi Burka)
- গাউন বোরকা (Gown Burka)
- কটি বোরকা (Koti Burka)
- নরমাল বোরকা (Normal Burka)
- কালো বোরকা (Black Color Burka)
- ইসলামিক বোরকা (Islamic Burka)
9 Different Types of Burqa in Islam
1.আবায়া বোরকা (Abaya Burka)
আবায়া বোরকা কত প্রকার ও কি কি ? সে সম্পর্কে আমরা পরবর্তী পোস্টে বিস্তারিতভাবে জানব। এখন আমরা শুধু আবায়া বোরকার ধরন সম্পর্কে জানবো। আবায়া অনেক ধরণের রয়েছে তবে এদের নাম এবং ধরণ ভিন্ন হলেও এই সব ধরনের আবায়া বোরকার মূল উদ্দেশ্য একটাই। তা হলো পুরো শরীর ঢাকা। সাম্প্রতিককালের মডেলসমূহে প্রায় অনেক ধরণের কাপড়ের আবায়া-বোরকা পাওয়া যায়। এই আবায়া-বোরকা গুলোর সামনে খোলা বা সামনে লাগানো এই দুধরনের design বেশি প্রচলিত আছে। তবে অঞ্চলভেদেও আবায়ার শৈলীর পরিবর্তন হয়।
কিছু আরব রাষ্ট্রের বাইরে যেমন সৌদি আরবে আবায়া বোরকা মুসলিম নারীরা খুব একটা বেশি পড়ে না। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মত দেশেও এটা খুব কম পরতো। বাংলাদেশেও বহুকাল আগে আবায়া বোরকার তেমন একটা প্রচলন ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে আবায়া বোরকার প্রচলন অনেক খানি বেড়েছে। এখন এই বোরকা প্রায় সব খানেই প্রচলিত।
“আবায়া”-এর যৌক্তিকতা টানা হয়, “হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্ত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।” [ সুরা আহযাব ৩৩:৫৯
কোরানের একটি আয়াত
মুসলিম country গুলোতেই আবায়া বোরকা বেশি জনপ্রিয় কারণ সাধারণতো মুসলমানদেরই বোরকা পরা বাধ্যতামূলক। এই বোরকাগুলো পরলে হাত এবং মুখমণ্ডল ব্যতীত শরীরে অন্য অংশ দেখা যায় না। পর্দা করার জন্য এই আবায়া বোরকাগুলো অত্যান্ত মানসম্মত একটি পোশাক।
2. জিলবাব বোরকা (Jilbab Burka)
জিলবাব আর খিমার আমরা অনেকেই চিনি না। প্রায় অনেকের এই একটা question থাকে যে কোনটা জিলবাব আর কোনটা খিমার। এক কথায়, জিলবাব আর খিমারের পার্থক্যটা কোথায়?
জিলবাব মূলত একটি হিজাব যেটা একদম মাথা থেকে শুরু হয় এবং সেটা পা পর্যন্ত cover করতে পারে। জিলবাব বোরকা সাধারণত ফুল লেংথ এর হয় অর্থাৎ এটি পরলে আপনার কোনো এক্সট্রা হিজাব পরা লাগবে না এটি বোরকার সাথে সংযুক্ত করেই তৈরি করা হয়েছে।
জিলবাব হল এমন একটি বোরকা যেটা অন্যান্য বোরকা বা আবায়ার মতো গলা, কাঁধ বা কোনো আর্মহোল থাকেনা, এমনকি কোনো হাতাও থাকেনা, সামনের দিকের বর্ডার সাইড টাকেই মূলত হাতা বলা হয়।
মাথা থেকেই সোজা নিচে নেমে যায় বলে এই জিলবাবগুলো খুব ঢিলেঢালা হয়, যার কারণে এটি যেকোন সাইজের মানুষ পরলেই খুব মানানসই দেখাই। তবে জিলবাব কিন্তু খিমারের মতো এত ঘের হয় না। যাহোক, এটি অনেক সুন্দর একটি পোশাক। যারা খাজভাবে পর্দা করতে চান তারা এই জিলবাবগুলো পরতে পারেন।
3. খিমার বোরকা (Khimar Burka)
খিমার মূলত একটি হিজাব। যেটা সাধারণত মাথা থেকে শুরু হয়ে হাঁটু পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে এটি মূলত ফুল লেংথ এর হয় না। খিমারের কাপড়টা কাটা হয় সাধারণত umbrella cut বা রুমাল ঘের এ। ফলে এর ঘের কিন্তু জিলবাবের চাইতে অনেক বেশি হয়।
আমরা যারা স্কুল কলেজে পড়ি বা কোথাও বেড়াতে যায় তখন কিন্তু আমাদের হাতে সময় একদমি কম থাকে ঠিক তখন মাথায় একটা চিন্তা আসে যে , ইসসস যদি shortcut কোনো বোরকা পেতাম তাহলে খুব অল্প সময়ে চোট্ জলদি ready হয়ে যেতে পারতাম!
Yes,exactly right. আর তাই আমি বলবো আজকের পর থেকে এই বিষয়ে আর কোনো প্রকার দুশচিন্তা নয়। চলে এসেছে আপনাদের সুদীর্গ দিনের প্রত্যাশিত খিমার বোরকা। এটির design এত সুন্দর যে এটি পরলে আপনার এক্সট্রা হিজাব পরার জন্য কোনো তাড়া থাকে না।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি এই খিমার হিজাবটি পরে পেলতে পারবেন। এতে করে আপনার যেমন সময়ও বাঁচবে তেমনি যথাযথভাবে মনের মতো করে পর্দা করাও হবে ইনশাআল্লাহ। চলুন আর দেরি না করে আজোই কিনে পেলুন এই অসাধারণ খিমার বোরকাটি।
জিলবাব বোরকাটির মতো এই খিমার বোরকাটিরও গলা, কাঁধ বা কোনো আর্মহোল থাকেনা, তবে হাতার জন্য অসাধারণ একটি design করা হয়েছে, তা হলো সামনের দিকের ঠিক হাত বরাবর সাইডেই হাতা বানানো হয়েছে।
জিলবাবের মতো এটিও মাথা থেকে সোজা নিচে নেমে যায় বলে এটি খুব ঢিলেঢালা হয়,তবে জিলবাবের চেয়েও খিমারের ঘের অনেক বেশী যার কারণে এটি ছোট বাচ্ছা থেকে শুরু করে যেকোন সাইজের মানুষ পরলেই খুব মানানসই দেখাই। যাহোক, এটি অনেক সুন্দর একটি বোরকা। যারা খাজভাবে পর্দা করতে চান তারা এই খিমারগুলো choose করতে পারেন।
4. কুচি বোরকা (Kuchi Burka)
কুচি বোরকা বিভিন্ন design এর হয়ে থাকে। কিছু কুচি বোরকার কোমর পার্টে কুচি থাকে আবার কিছু কুচি বোরকার নিচের বর্ডার পার্টে কুচি থাকে আবার কিছু কুচি বোরকার কোমর থেকে শুরু করে একদম বর্ডার পর্যন্ত ধাপে ধাপে কুচি থাকে। একেক জন একেক রকম বোরকা পছন্দ করে।
এই বোরকাগুলো সত্যি অসাধারণ। বিশেষ করে আপনারা যারা স্কুল কলেজে পড়েন তারা আশা করি যেকোনো ধরণের কুচি যুক্ত পোশাক পছন্দ করেন। তো তাদের জন্যই মূলত এই বুরকাটি একটি মানানসই পোশাক। কোনো প্রকার চিন্তা না করেই কিনে নিতে পারেন এই অসাধারণ কুচি বুরকাটি।
এটি সত্যি অসাধারণ একটি বোরকা। এই বুরকাটির full-body তে যেমন step by step কুচি রয়েছে ঠিক তেমনি এই বুরকাটির হাতার মধ্যেও অসাধারণ কুচি যুক্ত নকশা রয়েছে। যে যেমন design পছন্দ করেন সে তেমন ডিজানের বুরকা অনলাইন শপিং স্টোর থেকে কিনে নিতে পারবেন নির্দ্বিধায়।
এই কুচি বুরকা গুলোর প্রতি step by step বা কোমর পার্টে কুচি থাকার কারণে দেখতে যেমন অনেক সুন্দর তেমনি অনেক ঢিলেঢালাও হয়। এতে করে এটি পরলে আপনার পর্দা করাও যথাযথ হবে ইনশাল্লাহ।
5. আমব্রেলা-কাট/রুমাল-ঘের/গাউন বোরকা (Umbrella-Cut / Rumal-Ger / Gown Burqa)
গাউন বোরকাকে অনেকে umbrella-cut বোরকা বলে আবার অনেকে রুমাল ঘেরের বোরকাও বলে। বর্তমান সময়ে এটির চাহিদা এত বেশি যে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ আরো অন্যান্য দেশেও এর প্রচলন অনেক বেশি। কিন্তু আগের কালে বাংলার নারীরা সাধারণ-বোরকা পরতেই খুব বেশি অব্যস্ত ছিলো।
কিন্তু এখন বাংলার মা বোনেরা এই গাউন বোরকাগুলোই পরতে বেশী পছন্দ করে। এই বোরকাগুলো সত্যি অসাধারণ একটি বোরকা। যেকোনো বয়সের মানুষ পরতে পারবে তবে ছোট থেকে শুরু করে তরুণীদের পরলে বেশি মানানসই দেখাই।
তবে আমি মনে করি এই বুরকাটি যদি ঢিলেঢালা না হয় তাহলে এটি পরলে সঠিকভাবে পর্দা করা হয় না আসলে, কারণ এই বুরকাটির কোমড় পার্ট অনেক টাইট হয়ে শরীরের সাথে ফিট হয়ে থাকে এতে করে শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। যা পর্দার পরিপন্থি। এটা তো কোনো পর্দায় না বরং এটা পর্দাকে অবমাননা করা হয়।
তবে এই রাউন্ড বোরকাগুলো আপনাদের যাদের একান্তই ভালো লাগে, তবে আপনাদের কাছে একটা বিনীত অনুরোধ থাকবে তা হলো আপনারা যেন বোরকাগুলো যথেষ্ট পরিমান ঢিলেঢালা করে সেলাই করেন এবং চাইলে বুরকার সাথে মিল করে এক্সট্রা কুটিও পরতে পারেন অথবা এক্সট্রা ওলনা ও পরতে পারেন। তারচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি এই umbrella-cut বুরকার সাথে color মিল করে খিমার হিজাবটি পরতে পারেন। তাহলে আপনার পর্দা করা যেমন যথাযথ হবে তেমনি এটি খিমার হিজাবের সাথে মিল করে পরলে আপনাকে অসাধারণ লাগবে।
6. কটি বোরকা (Koti Burka)
স্টাইলিস বুরকার মধ্যে কুটি বুরকা অন্যতম। এই বুরকাগুলো সত্যি অসাধারণ। এই বুরকাগুলোকে এক প্রকার আধুনিক বুরকাও বলা যায়। যারা একটু স্টাইলিস মাইন্ডের তারা এই বোরকাগুলো নির্দ্বিধায় choose করতে পারেন। এই বোরকা গুলোর সাথে আপনি ইসলামিক রীতে মেনে হিজাব পরলে আপনার পর্দা করাও যেমন যথাযথ হবে আবার আপনাকে মডার্নও দেখাবে।
7. নরমাল বোরকা (Normal Burka)
নরমাল বুরকা বলতে আমরা যেটা বুজি সেটা হলো সাদামাটা একটি ঢিলেঢালা পোশাক। তবে এই বুরকাগুলো যে একদম সাদামাটা পাওয়া যায় তা কিন্তু নই, এই বুরকার মধ্যে অনেক ডিজানের কারুকাজও থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত এই বুরকাগুলোর প্রচলন অনেক বেশি। সব বয়সের জন্য এই বুরকা মানানসই।
8. কালো বোরকা (Black Color Burka)
কালো বোরকা এমন একটি বোরকা যে বুরকা সবাই পছন্দ করে। কালো বুরকা পছন্দ করে না এমন কোনো মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সত্যি কথা বলতে বুরকার জন্য উত্তম কালার হচ্ছে কালো কালার। কারণ কালো রং একটি মানানসই শালীনতাসম্মত রং।
তবে অন্যন্য কালার যে ইসলাম মোটেই সমৰ্থন করে না তা কিন্তু নই। আপনি শালীনতা বজায় রেখে ডিলেডালা করে সিলাই করে যেকোন কালারের বোরকা বুরকা পরতে পারবেন। তবে গাড়ো লাল এবং হলুদ রং না পরাই উত্তম কারণ এই রং আমাদের বিশ্ব নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব অপছন্দ করতেন।
9. ইসলামিক বোরকা (Islamic Burka)
ইসলামিক বোরকা বলতে আলাদাভাবে কোন বুরকাকে Indicate করে না আসলে। আপনি ইসলামের রীতিনীতি মেনে যেকোন ধরনের বোরকা পরতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
RELATED POST: