প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য পর্যটক এসব দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে আসে। আজকের পোষ্টে আমরা আপনাদের দেখাতে চলেছি বাংলাদেশের ১০টি দর্শনীয় স্থান (10 best tourist place in bangladesh) যেগুলো আপনার মন ও চোখকে অবশ্যই শীতল করবে।
বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থানের তালিকা (list of the 10 best tourist place in Bangladesh)
- সেন্টমার্টিন (Saint Martin)
- কক্সবাজার (Cox’s Bazar Beach)
- সুন্দরবন (Sundarbans)
- সাজেক ভ্যালি (Sajek Valley)
- নীলাচল (Nilachal)
- রাঙ্গামাটির (Rangamati)
- জাফলং (Jaflong)
- কুয়াকাটা (Kuakata Sea Beach)
- রাতারগুল জলাবন (Ratargul Swamp Forest)
- টাঙ্গুয়ার হাওর (Tanguar Haor)
১.সেন্টমার্টিন (Saint Martin)

দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসু ট্রাভেলারদের নিকট নিকট খুবই জনপ্রিয় একটি পর্যটন গন্তব্য হচ্ছে আমাদের এই সেন্টমার্টিন দ্বীপ। সেন্টমার্টিন দ্বীপটি নারিকেল-জিন্জিরা হিসেবেও পরিচিত এবং বর্তমানে এটি দারুচিনি দ্বীপ দারুচিনি দ্বীপ নামেও পরিচিতি বাড়ছে।
এখানে কি এমন এবং সারি সারি নারিকেল গাছ খুব সহজেই মানুষের মন কেড়ে নেয়। সাগরের বুকে উড়ে চলে ঝাকে ঝাকে গাংচিল এবং ভাটায় ভেসে ওঠে নান্দনিক সামুদ্রিক প্রবাল। এটি দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ। সৈকতে বসে নরম কোমল স্নিগ্ধ বাতাসে গা জুড়িয়ে দিয়ে সূর্যাস্তের অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায়।
প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে প্রায় 1 মিলিয়ন পর্যটকে মুখরিত থাকে এই দারুচিনি দ্বীপ। কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ‘বদর মোকাম’ থেকে ৯ কিলোমিটার ও টেকনাফ থানা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপ।
এই অসাধারণ দ্বীপটি বাংলাদেশের সমুদ্র প্রেমীদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। ভৌগোলিকভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি তিনটি অংশে বিভক্ত যার দক্ষিণাঞ্চলীয় অংশকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া এবং উত্তর অংশকে বলা হয় উত্তর পাড়া বা নারিকেল জিনজিরা। দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত একটি এলাকায় রয়েছে যা সংকীর্ণ লেজের মত দেখতে এবং এটিকে গলাচিপা নামে ডাকা হয়।
দ্বীপের দক্ষিণে ছেড়াদিয়া বা সিরাদিয়া ছেঁড়া দ্বীপ নামে জনশূন্য একটি ছোট দ্বীপ আছে যা আয়তনে ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার। জোয়ারের সময় নৌকা প্রয়োজন হলেও ভাটার সময় এই দ্বীপে হেঁটে যাওয়া সম্ভব হয়। দীপ্তিটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ৫-৭ টি লঞ্চ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে এই দ্বীপে স্বাভাবিকভাবে আসা যাওয়া করে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে একটি সরকারি ডাকবাংলোর পাশাপাশি বর্তমানে বেশ কয়েকটি ভালো মানের আবাসিক হোটেলও রয়েছে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই স্থানটি একটি আদর্শ জায়গা কারণ এই দ্বীপের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বেশ ভালো।
২.কক্সবাজার (Cox’s Bazar Beach)

ভোর বেলায় শিশির কনা আর রাতে দক্ষিণা হিমবাহ জানিয়ে দেয় শীতের আগমন। ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল শীতকাল, এজন্য সবাই শীতকালে ভ্রমণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। প্রকৃতি শীতকালকে বিশেষ করে তৈরি করেছে ভ্রমণের উপযোগী করে কারণ এ সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকে।
কক্সবাজার হল মূলত একটি শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটনকেন্দ্র যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অবস্থিত। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য দেশ-বিদেশে প্রচুর বিখ্যাত।একসময় কক্সবাজার পানোয়া বা হলুদ ফুল নামেও পরিচিত ছিল।
আপনিও শীতকালে শহরের যান্ত্রিকতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে। প্রায় 122 কিলোমিটার দীর্ঘ এই বালুময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বড় সমুদ্র সৈকত।
আপনার রোমাঞ্চকর জীবনের হতাশা, ব্যর্থতা, যন্ত্রণা এবং গ্লানি মুছে ফেলতে পারেন এই সমুদ্রের জলে। এক পাশে পাহাড় ও সারি সারি ঝাউবন এবং সামনে বিশাল জলরাশী কখনো উত্তাল কখনো স্থির। অখন্ড এই সাগর সৈকত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উত্তাল ঢেউ এবং মনোমুগ্ধকর সূর্যাস্তের মায়াজালে আবদ্ধ করে রাখে।
পূর্ণিমার রাতে আকাশে উজ্জ্বল চাঁদ সমুদ্রের নোনা জলে প্রতিফলিত হয়ে ওঠে। মাঝ রাতেও দিগন্ত বালুরেখা উজ্জ্বল হয়ে উঠে। সমুদ্রের ঢেউ কানে তানপুরা বা বীণার সুর উঠায়। কক্সবাজার শহরের নিকটতম সৈকত কলাতলি ও লাভুনি পয়েন্ট। ঐ সৈকতের পাশে কফির মগে চুমুক দিয়ে দেখা যায় সমুদ্রের বুকে হারিয়ে যাওয়া লাল সূর্য।
রাতের গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে সৈকতে মার্কেটগুলোর বর্ণিল আলোর ছটা। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় জমে উঠে সৈকতের এসব মার্কেটে। গোধূলি লগ্নে বা ভর দুপুরে কিংবা রাতে সৈকতে মেরিন ড্রাইভে লং ড্রইভে বের হতে পারেন। একপাশে পাহাড় আরেক পাশে সমূদ্র।
মেরিন ড্রাইভ ধরে কক্সবাজার থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত অপরূপ সৌন্দর্যের হিমছড়ি যার একপাশে সবুজ পাহাড় আর অন্যপাশে অপরূপ ঝর্ণা এর প্রধান আকর্ষণ। কক্সবাজার আওতাভুক্ত মহিসখালি সোনাদিয়া দ্বীপে রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম শুটকি প্রক্রিয়াজাত করণ এলাকা।
শীতের মৌসুমে এখানে প্রচুর অতিথি পাখির সমাগম ঘটে। মহেশখালীতে পাহাড়ি চূড়ায় আদিনাথ মন্দির। অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এই সোনাদিয়ায় রয়েছে অন্যান্য সুন্দর নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত। সৈকত জুড়ে দেখা মিলবে অজস্র লাল কাকড়ার।
কক্সবাজারে পর্যাপ্ত হোটেল রয়েছে থাকার জন্য। সাধারণত দাম অনুসারে কক্সবাজারে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট গুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সায়মন বিচ রিসোর্ট, ওশান প্যারাডাইস, কক্স টুডে, ইত্যাদি। এসব হোটেল রিসোর্টে সাধারণত অগ্রিম বুকিং করতে হয়।
৩.সুন্দরবন (Sundarbans)

শহরের ব্যস্ততা ও একঘেয়ে ক্লান্ত কর্মময় জীবন থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বন সুন্দরবন থেকে। সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার এরমধ্যে ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মধ্যে। সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ
সুন্দরবন বাংলাদেশের দীর্ঘতম লবনাক্ত জলাভূমি এবং জীব বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইকোসিস্টেম। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বন গাড়ো সবুজে ভরা, চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ এর সমারোহ। আছে হরেক রকমের জীব-জন্তু পাখপাখালি আর কীটপতঙ্গ।
সুন্দরবন বঙ্গোপসাগরের পাশে অবস্থিত হওয়ায় বঙ্গবসাগর থেকে ছুটে আসে জলভেজা লবনাক্ত বাতাস।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অ্যাডভেঞ্চার, ভয়, ও শিহরণের স্থান হল সুন্দরবন।
জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ, প্রকৃতির অকৃপণ হাতের সৃষ্টি। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, সাপ, বনর, নানান ধরনের পাখি, ও মাছ সহ নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী পৃথিবীতে বিখ্যাত।
প্রতি বছর নভেম্বর থেকে শুরু হয় সুন্দর বনে পর্যটনের মৌসুম। নির্জন বনের সি-বিচে গোসল ও সাতার কেটে কিংবা ক্যামেরার সাহায্যে বন্যজন্তুর ছবি তুলে, হরিণ দেখে, বাঘ খুঁজে, বানর ও কুমিরের সঙ্গে লুকোচুরি করে সময় কাটাতে পারেন এখানে।
সুন্দরবনে পৃথিবীর বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার দর্শন সহজলভ্য হওয়ার পাশাপাশি জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালদের সঙ্গে দেখা ও কথা বলার সুযোগ পেতে পারেন অনায়াসেই। সুন্দরবনে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – করমজল, কটকা, কচিখালী, হারবাড়িয়া, কোকিলমোনি, পক্ষীর চর, তিনকোনা, হিরণপয়েন্ট, ডিমের চর, আলোরকোল ও দুবলারচর ইত্যাদি।
রাতে ও সকালে নদীপথে খুলনা লঞ্চ ঘাট থেকে সুন্দরবন যাওয়া যাবে। থাকা-খাওয়ার জন্য খুলনায় বেশ কয়েকটি ভালো মানের হোটেল রয়েছে। আর বাগেরহাট থাকতে চাইলে সেখানেও রয়েছে বেশ কয়েকটি ভালো মানের হোটেল।
৪. সাজেক ভ্যালি (Sajek Valley)

বর্তমান সময়ে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সাজেক বেলি অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান এটি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ। সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটির জেলায় সর্বউত্তরে মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত।
সাজেকে উত্তরে ভারতে ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লঙ্গোদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত। দীঘিনালা থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৪৯ কিলোমিটার এবং খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার।
রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে কাপ্তাই হয়ে এসে অনেক পথেতে সাজেকে যাওয়া যায়। সাজেক রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও এর যাতায়েত সুবিধা খাগড়াছড়ি থেকে। সাজেক ইউনিয়ন ৭০২ বর্গমাইল আয়তন নিয়ে গঠিত যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন।
এখানে অবস্থিত সাজেক বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত বিজিপি ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত। বিজিবি সদস্যদের সুষ্ঠ পরিকল্পনায় বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম দ্বারা বতর্মান সাজেকের এই ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
সাজেক ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচু হওয়ায় বর্তমানে সাজেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা জন্য প্রায় সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। সারা বছরই সাজেক পর্যটন স্থানে ভ্রমণ করা যায়। সাজেক মূলত রুইলুইপাড়া এবং কংলাক পাড়া এই দুটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্র।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭২০ ফুট উচ্চতায় রুইলুই পাড়া আর ১৮০০ ফুট উচ্চতায় কংলাক পাড়া অবস্থিত। সাজেকে মূলত বহু বছর ধরে ত্রিপুরা, লুসাই, এবং পাংখোয়া আদিবাসী বসবাস করে। সাজেক ভ্যালির কমলা ও কলা অনেক বিখ্যাত। সাজেক ভ্যালিকে রাঙ্গামাটির ছাদ বলা হয় কারণ সাজেক ভ্যালি থেকে রাঙ্গামাটির অনেকটাই অংশ দেখা যায়।
সাজেকে একই দিনে প্রকৃতির তিন রকম রূপ এর দেখা মেলে যেমন খুব গরম বা হঠাৎ বৃষ্টি অথবা চোখের পলকে মেঘের ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাবে আপনার চারপাশ। সাজেকে গেলে মেঘের খেলা আর সূর্যোদয়ের আলোর মেলা একই সময় দেখতে চাইলে সকালে ভোরের সময়টা মিস করবেন না।
সাজেকের হেলিপ্যাড এ গিয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অসাধারণ দৃশ্যটা উপভোগ করতে পারবেন। সন্ধার পর আকাশে কোটি কোটি তারার মেলা আপনাকে অবশ্যই আকর্ষিত করবে তাদের ছোঁয়ার জন্য। সাজেকে থাকার জন্য প্রায় শতাধিক রিসোর্ট ও কোয়াটেজ থাকে।
একরাতের জন্য রুম নিতে রির্সোট প্রতি ১৫০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগবে। ছুটির দিনে যেতে চাইলে মাস খানেক আগে থেকে বুকিং করে রাখা ভালো। নয়তো ভালো রুম পাবার নিশ্চয়তা কম। সাজেকের সব কোয়ার্টজ থেকে মোটামুটি সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।
৫. নীলাচল (Nilachal)

বান্দরবান জেলায় অনেকগুলো অসাধারণ পর্যটন স্থানের মধ্যে নীলাচল অন্যতম। নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। নীলাচল আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রটি বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড়চূড়ায় তৈরি করা হয়েছে।
নীলাচলের সৌন্দর্যের কারণে অনেকেই এটিকে বাংলাদেশের দার্জিলিং বলেও আখ্যায়িত করে। নীলাচল প্রকল্পটি ২০০৬ সালের পহেলা জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। ‘ঝুলন্ত নীলা’, ‘নীহারিকা’, ‘শুভ্রনীলা’,এবং ‘ভ্যালেন্টাইন পয়েন্ট’ নামে আকর্ষনীয় বিশ্রামাগার রয়েছে এই প্রকল্পটিতে।
বসার এবং বিশ্রামের ব্যবস্থার পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলাধুলার স্থানও রয়েছে এই প্রকল্পটিতে। অপূর্ব পাহাড়ের ঢালে ঢালে জায়গাগুলোকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে সামনের পাহাড়ের দৃশ্যও ভিন্ন ভিন্ন রকম, একেবারেই আলাদা, ও স্বতন্ত্র।
জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬শ’ ফুট উঁচু হওয়ায় বর্ষা, শরৎ অথবা হেমন্ত – তিন ঋতুতেই মেঘ ছোঁয়া যায়। সমগ্র বান্দরবান নীলাচল থেকে এক নজরে দেখা যায়। অনেক সময় আকাশ মেঘ মুক্ত হলে কক্সবাজারর সমুদ্রসৈকতের অপুর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে উপভোগ করা যায়।
এখানকার নীল রঙের রিসোর্টগুলো নীলাচলের বাড়তি আকর্ষণ। সূর্যাস্ত পর্যন্ত সাধারণ পর্যটকদের জন্য এই জায়গায় অনুমতি রয়েছে। বান্দরবান শহর থেকে নীলাচল যাওয়ার জন্য সিএনজি, চাঁদের গাড়ি, ও জিপ গাড়ি পাওয়া যায়।
নীলাচলে থাকতে চাইলে নীলাচল স্কেপ রিসোর্ট এর তিনটি কটেজের যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। এছাড়া নীলাচল বান্দরবান শহরের কাছে অবস্থিত হওয়ায় আপনি বান্দরবান শহরে হোটেল ও রির্সোট গুলোতে থাকতে পারবেন।
৬. রাঙ্গামাটির (Rangamati)

রাঙ্গামাটির বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটির পার্বত্য জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর। চট্টগ্রাম থেকে ৭৭ কিলোমিটার দূরে রাঙ্গামাটি অবস্থিত। রাজধানী ঢাকা থেকে দূরত্ব প্রায় ৩০৮ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগে সদর দপ্তর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার।
কর্ণফুলী হ্রদ – কৃত্রিম হ্রদের আয়তন প্রায় ২৯২ বর্গমাইল। এখানে নদীর বিস্তৃত জলরাশি নীল আকাশের সাথে মিলে গেছে। রাঙ্গামাটির শহরে গেলে চোখে পড়ে হ্রদ ও পাহাড়ের অকৃত্রিম সহ অবস্থান যা দেশের আর কোথাও দেখা মেলে না।
এই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি আর সবুজ পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য পযর্টকদের সহজে কাছে টানে। আর হ্রদের নৌভ্রমণ যেকারো মন প্রাণ জুড়িয়ে দেয় প্রকৃতির আপন মহিমায়। প্রকৃতি এখানে কতটা অকৃপণ হাতে তার রূপ সুধা ঠেলে দিয়েছে তা দূর থেকে কখনোই অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
রাঙ্গামাটির জেলায় জনপ্রিয় ভ্রমণের স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হলো কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, রাজবন বিহার, সুবলং ঝর্ণা, নৌবাহিনীর পিকনিক স্পট, কাপ্তাই বাঁধ, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতি ভাস্কর্য, উপজাতীয় জাদুঘর, কর্ণফুলী কাগজকল সহ আরো অনেক কিছু।
৭. জাফলং (Jaflong)

জাফলং বাংলাদেশের সিলেটে গোয়াইনঘাট উপজেলায় অন্তর্গত একটি পর্যটন স্থল। জাফলং সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এবং এখানে পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সংমিলন বলে এই এলাকায় বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন সংস্থা হিসেবে পরিচিত।
980 দশকের সিলেটের সাথে জাফলং 55 কিলোমিটার সড়ক তৈরি হওয়ার মধ্যমে দেশের অন্যান্য সকল অঞ্চল থেকে এই এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সড়কপথে সিলেট সদর থেকে এই স্থানের দূরত্ব 56 কিলোমিটার।
পর্যটনের সাথে জাফলং পাথরের জন্য বিখ্যাত। শ্রমজীবী মানুষেরা পাথরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে সেই বহুকাল যাবত। জাফলং এর বাংলাদেশের সীমান্তে দাঁড়ালে ভারত সীমান্তে অভ্যন্তরে উচু উচু পাহাড় গুলো দেখা যায়। এসব পাহাড় থেকে নেমে আসে ঝরনা। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এসব ভারতের ঝুলন্ত সেতু আকর্ষন করে অনেককে।
এছাড়াও সর্পিলাকার বয়ে চলা ডাউকি নদীও এখানে টানে পর্যটকদের। মৌসুমী বায়ু প্রবাহের ফলে ভারত সীমান্তে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। নদীর স্রোত বেড়ে গেলে নদী ফিরে পায় তার প্রাণ, হয়ে ওঠে আরও মনোরম। ডাউকি নদীর সচ্ছল পানি জাফলং এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষে এখানে জাফলংয়ে আয়োজিত করা হয় বৈশাখী মেলা। এই মেলাকে ঘিরে উৎসবে মুখরিত হয় পুরো এলাকা। বর্ষা ও শীত কালে আলাদা আলাদা সূর্য ফুটে উঠে। বর্ষাকালে বৃষ্টিস্নাত গাছগাছালি ও খরস্রোতা নদী হয় দেখার মতো। তাছাড়া পাহাড়ের মাথায় মেঘের দৃশ্য যথেষ্ট মনরম।
সাধারণত জাফলং ভ্রমণকারী পর্যটকরা রাত জাপন করার জন্য সিলেট শহরেই ফিরে আসেন। তাছাড়া সিলেট থেকে অন্যান্য ভ্রমণের স্থানে যাওয়া ও সুবিধা জনক। সিলেটে বেশির ভাগ হোটেল গুলো শাহাজালাল মাজারের আশেপাশকে ঘিরে অবস্থিত। কম খরচে থাকতে চাইলে দরগা গেট এলাকায় 500 থেকে 1000 টাকা মানের অনেক হোটেল আপনি পেয়ে যাবেন ।
৮. কুয়াকাটা (Kuakata Sea Beach)

কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলে একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সাগর কন্যা হিসেবে পরিচিত। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি Best Tourist Spot in Kuakata.
Kuakata Tourist Spot বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথের দূরত্ব প্রায় 380 কিলোমিটার আর বরিশাল থেকে প্রায়ই 108 কিলোমিটার। কুয়াকাটা পটুয়াখালী সদর থেকে 70 কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
কুয়াকাটা নামের পেছনে রয়েছে আরাকানদের এদেশে আগমনের সাথে জড়িত ইতিহাস। কুয়া শব্দটি এসেছে কূপ থেকে, ধারণা করা হয় 1800 শতকের মুঘল শাসকদের দ্বারা বার্মা থেকে বিতারিত হয়ে আরাকানরা এই অঞ্চলে এসে বসবাস করা শুরু করে।
তখন এখানে সুপেয় পানির অভাব পূরণ করতে তারা প্রচুর কুয়ো বা কূপ খনন করেছিলেন। সেই থেকে অঞ্চলের নাম হয়েছে কুয়াকাটা। পর্যটকদের থাকার জন্য কুয়াকাটায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল আছে। রুমের মান ও শ্রেণী অনুযায়ী 400 থেকে 5000 টাকায় থাকতে পারবেন। সিজনে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া গেলে আগেথেকে রুম বুক করা লাগেনা।
৯. রাতারগুল জলাবন (Ratargul Swamp Forest)

রাতারগুল জলাবন হল আরেকটি best tourist place in sylhet, Bangladesh. বাংলাদেশের একমাত্র মিটাপানির জলাবন ও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব 26 কিলোমিটার এবং এটি পৃথিবীর মাত্র কয়েকদিনের জলবনে মধ্যে অন্যতম একটি।
এই sylhet tourist spot টিকে বাংলাদেশ সরকারের বন্য বিভাগ অধিনে সংরক্ষণ করা হয়েছে। চির সবুজ এই বন গোয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত এবং শ্রীঙ্গী খালের সাথে এদিকে সংযুক্ত করেছে। এখানে সবচেয়ে বেশি জন্মায় করচ গাছ। বর্ষাকালে এই বন ২০৩০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে, বাকি সারা বছর পানির উচ্চতা দশ ফুটের মতো থাকে।
বর্ষাকালে এই বনে অথৈ জল থাকে যা চার মাস, তারপর ছোট ছোট খাল গুলো হয়ে যায় পায়ে হাটা পথ আর তখন পানির আশ্রয় হয় বনবিভাগের খোঁড়া খালগুলোতে। সেখানে আশ্রয় নেয় জলজ প্রাণীকুল। জলে নিম্নাঙ্গ ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এখনো ভিড় করে পর্যটকেরা।
বনের ভিতর ভ্রমণ করতে দরকার হয় নৌকার, তবে সেগুলো হয়তো ডিঙ্গি নৌকা। ডিঙ্গিতে ছড়ে বনের ভিতর ঘুড়তে ঘুড়তে দেখা যায় প্রকৃতির রূপ সুদা। তবে বনে ভ্রমণ করতে অনুমতি নিতে হয় রাতারগুল বনবিট অফিস থেকে। কেউ কেউ এটিকে দ্বিতীয় সুন্দরবন বলেও আখ্যায়িত করেন।
রাতারগুল লালবাজার এলাকায় এবং দরগা রোডে কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউস আছে। সেখানে পাঁচশত থেকে একহাজার টাকার বিভিন্ন ধরনের রুম পাবেন। এছাড়াও ভালো সার্ভিসে অনেক আবাসিক হোটেল ও রয়েছে। সুতরাং রাতারগুল হল একটি best places to visit in sylhet.
১০.টাঙ্গুয়ার হাওর (Tanguar Haor)

বাংলাদেশে সুবিশাল গামলা আকৃতির অগভীর জলা ভূমিকে বলা হয় যা প্রতি বছর বর্ষার পানিতে প্লাবিত হয়ে ঢেউহীন সাগরের আকার ধারণ করে। শীত-গ্রীষ্মে হাওর গুলোকে সীমাহীন প্রান্তর মনে হলেও বছরের ৭ মাস হাওরগুলো পানিতে ডুবে থাকে।
সূনামগন্জ জেলার ধর্ম পাসা ও তাহিরপুর উপজেলার মাঝে প্রায় একশ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘন নীল জলরাশি নিয়ে শুয়ে আছে এই টাঙ্গুয়ার হাওর, আসলে এটি এখনো কিছুটা হাওরের সমন্বয়ে তৈরি বিস্তীর্ণ জলাভূমি। ২৮ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে মূল হাওরটি অবস্থিত, এবং বাকি অংশে আছে কিছু গ্রাম ও কৃষি জমি।
প্লাবনের পানিতে গ্রাম গুলো বিছিন্ন দীপে পরিনত হয়। টাঙ্গুয়ার হাওরকে স্থানীয় মানুষেরা বলে নয় কুড়ি কান্দা ছয় কুড়ি বিল – যার গায়ের কাছে হাতছানি দেয় মেঘালয়ের পাহাড়। এই টাঙ্গুয়ার হাওরে মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে এসেছে ত্রিশটিরও বেশি ঝরনা এবং এটি বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিহৎতর মিষ্টি জলের জলাভূমি।
বর্ষাকালে জলে টইটুম্বুর থাকার কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়ানোর আদর্শ সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। তবে পাখি দেখতে হলে অবশ্যই শীতকালে যেতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওর যেতে হলে ঢাকা বা সিলেট থেকে যেতে হবে সূনামগন্জ, সেখান থেকে অটো করে তাহিরপুর ঘাটে গিয়ে যন্ত্র চালিত নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে টাঙ্গুয়ার হাওর।
নৌকা যত সামনে এগুতে থাকবে পানি ততবেশি স্বচ্ছ কাঁচের মতো পরিষ্কার দেখা যাবে। এবং দেখতে পাবেন পানির তলের মাছেদের খুলশুটি। সারাদিন হাওরের বুকে ঘোরাফেরার পর সূর্যাস্ত স্মৃতির পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে।
টাঙ্গুয়ার হাওড়ে থাকার জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও রাতে যদি নৌকায় থাকতে চান তবে সুরক্ষার জন্য পাহাড়ের কাছাকাছি থাকাই উত্তম হবে। আর ঘর ভাড়া করতে চাইলে ডেকেরঘাট এলাকায় কাঠের বাড়িতে স্বল্পমূল্যে রুম ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবেন । তবে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে একরাত নৌকায় থাকার অভিজ্ঞতা নিলে ভালো লাগবে।
আশা করি আপনি বাংলাদেশের 10 টি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন এবং আজি এসব স্থানে যাওয়ার জন্য প্ল্যানিং শুরু করবেন। ধন্যবাদ।
FAQ (আপনার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী)
১. বাংলাদেশ কিসের জন্য বিখ্যাত?
এটি বিশ্বের বৃহত্তম নদী ব-দ্বীপের আবাসস্থল, যা ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা নদী দ্বারা গঠিত। সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের বিচরণ, যা ব-দ্বীপের একটি ম্যানগ্রোভ এবং জলাভূমি। এছাড়াও বাংলাদেশ এশিয়ার দীর্ঘতম প্রাকৃতিক নিরবচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকতের জন্য (কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত) বিখ্যাত, যা 150 কিলোমিটার দীর্ঘ।
২. পর্যটক বলতে কি বুজো?
যারা মজা করার জন্য ভ্রমণ করেন তাদের বলা হয় “পর্যটক”। অনেক পর্যটক যেখানে থাকে সেসব স্থানকে কখনো কখনো “রিসর্ট” বলা হয়। মানুষ পর্যটনের জন্য যে স্থানগুলিতে যায় সেগুলিকে পর্যটন গন্তব্য বলা হয়।
৩. পর্যটন স্থান মানে কি?
পর্যটন স্থান হলো এমন একটি জায়গা যেখানে লোকেরা আনন্দ, বিনোদন এবং আগ্রহের করে পরিদর্শন করে, সাধারণত তারা যখন ছুটিতে থাকে কিংবা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে বিশেষকরে শীতকালীন অবকাসের সময় সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ উপযোগী সময়। বাংলাদেশে অসংখ্য সুন্দর সুন্দর পর্যটন স্থান রয়েছে।
যেমন : সেন্টমার্টিন (Saint Martin), কক্সবাজার (Cox’s Bazar Beach), সুন্দরবন (Sundarbans), সাজেক ভ্যালি (Sajek Valley), রাঙ্গামাটির (Rangamati), জাফলং (Jaflong), কুয়াকাটা (Kuakata Sea Beach) আরো কত কি। এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো এত সুন্দর ও আকর্ষণীয় যে বিদেশ থেকেও মানুষ এসে ভিড় জমাই এই পর্যটন স্থানগুলো দেখার জন্য। এমনকি ভ্রমণে যাওয়ার সময় তাদের সাথে করে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল মালপত্র বহন করে , যাতে কোনো প্রকার জামেলার স্বীকার না হতে হয়।
৪. বাংলাদেশের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান কোনটি?
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে প্রবাল দ্বীপ ও বলা হয়।
৫. পর্যটন আকর্ষণের ধরন কি কি?
বিভিন্ন ধরনের পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে যে যেমন পছন্দ করে। পর্যটন কেন্দ্র হলো শিল্প কাঠামোর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু বিনোদনের খোরাক জাগায় তা কিন্তু নয় এটি একটি শিক্ষণীয় ভ্রমণও বটে। এই বিশেষ পর্যটন আকর্ষণগুলি দেখার জন্য লোকেরা দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় জমায়।
এমনকি বিদেশ থেকেও মানুষ আসে এটি উপভোগ করতে। পর্যটন কেন্দ্র অনেক ধরণের হতে পারে কিছু আছে বিনোদন পার্ক, কিছু আছে বন্যপ্রাণী আকর্ষণ, কিছু আছে যাদুঘর এবং আর্ট গ্যালারী বা ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগত আকর্ষণ এছাড়াও আছে অনন্য-নির্মিত আকর্ষণ।
Extra POST:
- Read more: 9 Best Types of Hijab in Islam 2022
- Read more: Best Islamic Tips to Get Rid of Anxiety and Frustration
- Read more: Top 5 Best Dua For Rain
- Read more: বোরকা কত প্রকার ও কি কি | 9 Different Types of Burqa in Islam
- Read more: জুতার প্রকারভেদ – জুতা কত প্রকার ও কি কি | Different Types of Shoes